স্বদেশ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগসহ থানা এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের সম্মেলন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে নগরীর ওয়ার্ডগুলোতে প্রাথমিক সদস্য পদের জন্য তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। সেই তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে নেতাদের মাধ্যমে গ্রুপিং-লবিং করে চলেছেন দলে সদ্য যোগদানকারীরা। অপরদিকে টিকিট না পাওয়ায় আক্ষেপ ও হতাশা প্রকাশ করছেন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনার আলোকে ঈদের পর থেকে খুলনা মহানগরে সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু করেছে দলটি। নগরীর ৩৬টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। সেই তালিকা থেকে এবার বাদ পড়ছেন বিতর্কিতরা। যারা সিটি নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বাইরে কাজ করেছেন তারাও বাদ পড়ছেন তালিকা থেকে। তাদের সঙ্গে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের টিকিট পাওয়াও কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১৫ মে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর বিএনপি মনোনীত ও স্বতন্ত্রভাবে বিজয়ী হওয়া বেশ কিছু কাউন্সিলর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। ওই সময় তাদের অনুসারী অনেক বিএনপি নেতাকর্মীও আওয়ামী লীগে এসেছেন। যারা এবার স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দলীয় টিকিট নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে নিজেদের টিকিট নিশ্চিত না হলেও কেউ কেউ নিজেকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে দাবি করছেন।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের ক্ষেত্রে মূল দলের প্রাথমিক সদস্যের টিকিট পেতে হলে তার পদ থেকে পদত্যাগ করে মহানগরের ছাড়পত্র জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। কেউ কেউ ফেসবুকে নিজেদের ক্ষোভ ও হতাশার কথা ব্যক্ত করছেন। যা নিয়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
দলীয় সূত্র জানায়, নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩শ জনকে প্রাথমিক সদস্য পদ প্রদান করা হবে। যার মধ্যে ১০ শতাংশ নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। প্রতি ওয়ার্ডে সদস্যদের তালিকা প্রস্তুত করে ওয়ার্ডের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করতে হবে। মহানগর ও থানা আওয়ামী লীগের নেতাদের উপস্থিতিতে সদস্য তালিকার অনুমোদন দেয়া হবে।